দক্ষিণরায়ের দুয়ারে

কথা ছিল বছরের প্রথম দিন গঙ্গা সাগর ঘুরতে যাওয়ার। সকাল ৭.২০ মিনিটের নামখানা লোকাল ধরার কথা ছিল আমাদের, আমাদের মানে আমি, অর্ণব আর গোপাল দা। কিন্তু শীতের সকালে লেপের উষ্ণ স্পর্শের মায়া কাটাতেই কিছুটা দেরী হয়ে গেল। স্টেশন যখন পৌছালাম ততক্ষণে ট্রেন অনেক দূর চলে গেছে, তাই বলে তো আর ঘরে বসে থাকা যায় না। গোপাল দার বাইকটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম তিনজন। গন্তব্য সুন্দরবনের বাসন্তি। বাঘাযতীন স্টেশনের পাশ দিয়ে পঞ্চসায়রের রাস্তা ধরে আমরা পৌছালাম গড়িয়া স্টেশন, সেখান থেকে সোজা গঙ্গাজোয়ারা, খেয়াদহ পেরিয়ে গিয়ে উঠলাম বাসন্তী হাইওয়ে। এই হাইওয়ে ধরে সোজা প্রায় ৮০ কিলোমিটার গেলে বাসন্তী পৌছানো যায়।

আমরা তিনজন


পথের দুই পাশে ক্ষেত, মাছের ভেরি সব পেছনে ফেলে আমরা যখন বাসন্তী পৌছালাম তখন প্রায় ১২.৩০ বাজে। ওখানেই একটা হোটেলে দুপুরের খাওয়া সেরে আমরা ঠিক করলাম আরো ২০ কিলোমিটার দূরে ঝড়খালি যাব। সেইমত আবার আমাদের যাত্রা শুরু হল। বাসন্তী থেকে ঝড়খালি পৌছাতে সময় লাগল ৪৫ মিনিট। ঝড়খালি পৌছে আমরা চারদিক ঘুরে দেখলাম। ম্যানগ্রোভ অরণ্যের অপূর্ব সৌন্দর্য চাক্ষুস করে মনটা ভাল হয়ে গেল। একই সঙ্গে কিছু মানুষের নির্বোধ আচরণ দেখে মনে একটু ক্ষোভও জন্মালো। আজ মানুষের অসচেতনতার জন্যই ম্যানগ্রোভ বিপন্ন। যত্রতত্র প্লাস্টিকজাত বর্হ্য এবং তারস্বরে মাইকের শব্দ অরণ্যের শান্তি এবং ভারসাম্য বিঘ্নিত করছে। ঝড়খালি জেটি ঘাটের একটু আগেই  পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত একটি প্রাকৃতিক উদ্যান রয়েছে এখানে অসুস্থ বন্য পশুদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রয়েছে এছাড়া বিপন্ন ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ বাঁচানোর কাজও এখানে হয়। এখানেই সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য দুটি বাঘকে এনে রাখা হয়েছে। উদ্যানে একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে যা থেকে অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়।এই উদ্যানের নুন্যতম প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। দিনের শেষে বেলা ৩.৩০ মিনিট নাগাদ আমরা ফেরার পথ ধরলাম।
নিত্য তোমার যে ফুল ফোঁটে ফুলবনে

জীবিকার খোঁজে

কমলে কামিনী


মেরি হাঁস (Muscovy duck)


মেনি গুলে (Mudskipper)





বনের পথে পথে

ফিঙে পাখি (Bronze Drongo Bird)

ফিঙে পাখি

ফিঙে পাখি


অকুল দরিয়া

Comments

Popular Posts